ভোরের পত্র

বিজয়নগরে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ইউপির চেয়ারম্যানকে অনাস্থা দিলেন সদস্যরা।

  • ২৭ আগস্ট ২০২২, ৫:০২ অপরাহ্ণ
  • ১১৮ বার দেখা হয়েছে

মেহেজাবিন রাজ দিনাঃ- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার বুধন্তী ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী ছায়িদুল ইসলামের বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্তাগ্রহনের জন্য আবেদন দিয়েছেন সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসকের কাছে দেওয়া ওই ‘আইনী ব্যাবস্তাগ্রহনের জন্য ইউপির ১২ জন সদস্যের মধ্যে ১০ জন সই করেন। ওই পত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
এর আগে ওই সদস্যরা একটি হলফনামায় সই করেন। ১৬ আগস্ট করা ওই হলফনামায় (এফিডেভিট) উল্লেখ করা আছে, তারা একে অপরকে ছেড়ে যাবেন না। চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে লড়তে তারা এ হলফনামা করেন।
ইউপি সদস্য মো. সোহাগ ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, মো. এমদাদুল হক, মো. জজ মিয়া, মো. সফিক মিয়া, মো. আসিকুর রহমান, জাহানারা বেগম, পতুল বেগম, অতসী সাহা ও শেখ সজিব মিয়ার সই করা পত্রে উল্লেখ করা হয়-‘সব সদস্যদের সমন্বয়ে উন্নয়ন কার্যক্রম করার নির্দেশনা থাকলেও বুধন্তী ইউপির চেয়ারম্যান এর তোয়াক্কা করেন না। প্যানেল চেয়ারম্যান থাকলেও বাইরে গেলে তিনি কাউকে দায়িত্ব দেন না। মাসিক সভায় ইউপি সদস্যদের না ডেকে পরিষদের সচিবের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেন। সম্প্রতি ১১ টন গম বরাদ্দ হলে তিনি নিজেদের লোক দিয়ে কমিটি করেন।’
এতে অভিযোগ করা হয়, জন্মনিবন্ধন ফি ৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৫০ টাকা, জাতীয় সনদ ফি ২০ টাকা থেকে ৫০ টাকা, মৃত্যু সনদ ৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা, ওয়ারিশ সনদ ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা আদায় করছেন, যা পরিষদের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। এতে সাধারণ মানুষ হয়রানি ও ক্ষতির শিকার হচ্ছেন। এসব বিষয়ে আপত্তি করলে চেয়ারম্যানের লোকজনের হাতে হেনস্থা হতে হচ্ছে ইউপি সদস্যদের।
শুক্রবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ১ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. সোহাগ ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে বাড়ির ট্যাক্স বাড়ানোসহ অনেক সিদ্ধান্তে এলাকার মানুষ আমাদের ওপর ক্ষুব্ধ। আমরা ইউপির ১০ সদস্য জেলা প্রশাসকের সঙ্গে দেখা করে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। এর আগে কেউ যেন কাউকে ছেড়ে না যায় সে কারণে হলফনামায় সেই করে নিয়েছি।’
ইউপি চেয়ারম্যান কাজী ছায়িদুল ইসলাম বলেন, ‘আল্লাহই ভালো জানেন কেন তারা আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন। আমার জানা মতে আমি নিয়মের বাইরে কিছু করিনি। এখন আমার বিরুদ্ধে তদন্ত হলে তারা প্রমাণ করুক আমার ভুল কোথায়।’
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রুহুল আমিন এ বিষয়ে বলেন, ‘এ সংক্রান্ত অভিযোগ আসলে জেলা প্রশাসক থেকে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালকের অফিসে দায়িত্ব দিয়ে থাকেন।’
এ বিষয়ে জানতে স্থানীয় সরকারের উপপরিচালকের অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আস্রাফ আহমেদ রাসেলের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

ভোরের পত্র

এ জাতীয় আরো পড়ুন :

ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে রাস্তার ইট সলিং তুলে বাড়ি নিলেন ইউপি চেয়ারম্যান।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে রাস্তার ইট সলিং তুলে বাড়ি নিলেন…
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে ভারতীয় গাঁজাসহ ১জন আটক।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে ভারতীয় গাঁজাসহ ১জন আটক।
বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে  মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫ জন আহত।
বিজয়নগরে যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে  মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ১৫…
মক্কায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন হাফেজ ফয়সাল।
মক্কায় আন্তর্জাতিক হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতায় তৃতীয় হয়েছেন হাফেজ…
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে গাঁজাসহ ২জন আটক।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজয়নগরে গাঁজাসহ ২জন আটক।
বিজয়নগর আমতলী পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতারণা অভিযোগে জরিমানা।
বিজয়নগর আমতলী পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে প্রতারণা অভিযোগে জরিমানা।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে ছোট ভাইয়ের হাতে বড় ভাই খুন।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে মাদকসহ ২ জন আটক।
ব্রাক্ষণবাড়িয়া বিজয়নগরে মাদকসহ ২ জন আটক।