ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে ইছাপুরা ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মচারী আলমগীর কবির ১ যুগ ধরে রোগীকে প্রেসক্রিপশন প্রদান, কমিশন বাণিজ্যসহ বিভিন্ন ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের এমডি ও পরিচালক প্রশাসন পদে চাকুরী করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠৈছে। জানা যায়, তিনি বিগত ২০০৯ সালে উক্ত কেন্দ্রে ফার্মাসিস্ট পদে যোগদান করে ১৪ বছর ধরে একই জায়গায় থেকে দাপটের সাথে এলাকার লোকজনকে ম্যানেজ করে ডাক্তার সেজে রোগীকে প্রেসক্রিপশনসহ নানান অনিয়ম করে বেড়াচ্ছেন। যদিও ফার্মাসিস্ট হিসেবে তার কাজ হলো ডাক্তারের লেখা প্রেসক্রিপশন দেখে ঔষধ হস্তান্তর করা কিন্তু সে রোগীকে নিয়মিত প্রেসক্রিপশন লিখে যাচ্ছে। তার কমিশন বাণিজ্য ধরে রাখতে রোগীদেরকে স্থানীয় প্রাইভেট ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারে রেফার করেন এবং সেখানে পরিক্ষা নিরিক্ষা করার পরামর্শ প্রদান করেন। সরকারী চাকুরী ফাঁকি দিয়ে ২০১৯ থেকে ২০২০ ইং পর্যন্ত উপজেলা আমতলী বাজারে মেঘনা ডায়াগনিস্টিক সেন্টারে এমডি পদে চাকুরী করেন এবং সেখান থেকে মোটা অংকের বেতন গ্রহণ করেন। তিনি উক্ত ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের মালিকানা শেয়ার ছিলেন।
২০২১ইং থেকে ২০২২ইং পর্যন্ত একই এলাকার পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে তার স্ত্রীর নাছরিন সোলতানার নামে মালিকানা শেয়ার চলমান রেখে নিজে পরিচালক প্রশাসন পদে নিয়োজিত ছিলেন। সাথে সাথে কমিশন ভিত্তিক মাসিক রোগীর কৌটা পূরণ করে আসছিলেন এবং রোগী প্রদানের ক্ষেত্রে তিনিই ছিলেন ১ম স্থানে । পদ্মা ডায়াগনস্টিক সেন্টার সূত্রে জানা যায়, ২০২২ এর ডিসেম্বরের মধ্যে তিনি ৬ শতাধিক রোগীকে প্রেসক্রিপশন লিখে উক্ত সেন্টারে প্রেরণ করেন এবং পরিচালক প্রশাসন পদের বইরেও মোটা অংকের কমিশন হাতিয়ে নেন। বর্তমানে তিনি একই এলাকায় আবার ডেল্টা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক ও ফিজিওথেরাপি সেন্টার সচল করতে কাজ করে যাচ্ছেন। এসব দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি নিয়মিত অফিসে বসেন না এবং তার অফিস প্রায়ই তালাবদ্ধ দেখা যায়। বিভিন্ন সময় তার বদলীর আদেশ হলেও তার উর্ধতন কর্মকর্তাকে নানান কৌশলে ম্যানেজ করে থাকেন।
এ ব্যপারে আলমগীর কবীরের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি কোন সদত্তোর দিতে পারে নাই।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার ডাঃ রৌশন আরা জানান, আমি উক্ত উপজেলায় চলতি দায়িত্বে রয়েছি। বিষয়টি আমার জানা নেই তবে খতিয়ে দেখছি ।
জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার মোঃ আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই দতন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি