নিখোঁজ হালিমা খাতুন উপজেলার মোকামতলা ইউনিয়নের লস্করপুর মধ্য পাড়া গ্রামের হাবলু মিয়ার মেয়ে। সে স্থানীয় একটি কেজি স্কুলে প্লে শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ শিশুটির চাচা আনিসার রহমান (৩৫), চাচাতো ভাই আতিকুল ইসলাম (১৩) ও তার চাচিকে আটক করে থানায় নিয়ে গেছে।
হালিমার বাবা হাবলু মিয়া জানান, শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর হঠাৎ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয় হালিমা। এরপর সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ করেও তার সন্ধান পাইনি। বিষয়টি পুলিশকে জানালে রোববার পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গ্রামের তিনটি পুকুরে খোঁজাখুজি করেও তার সন্ধান পায়নি। আজ আমার বড় ভাই আনিছার রহমানের শয়নকক্ষ থেকে হালিমার বস্তাবন্দি মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিশুটির চাচা আনিছারের সঙ্গে হাবলু মিয়ার কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না। এমনকি গতকাল রোববার ভাতিজি হালিমাকে খোঁজার জন্য ডুবুরিদের সঙ্গে পুকুরেও নেমেছিলেন তিনি। তবুও তার ঘর থেকেই ভাতিজির লাশ কীভাবে উদ্ধার হল বোধগম্য নয়।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শিবগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রউফ বলেন, আমরা গতকাল ঐ এলাকার প্রতিটি বাড়ি তল্লাশি অভিযান পরিচালনা করেছি। আজ বিকেলে শিশুটির চাচার বাড়ির শয়নকক্ষে তল্লাশির সময় বস্তাবন্দি মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় চাচা আনিছার রহমানসহ, তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে