বেইলি রোডের অগ্নিকাণ্ডে নিহত অভিশ্রুতি শাস্ত্রী ওরফে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ তার নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ায় এসে পৌঁছেছে। সোমবার (১১ মার্চ) রাত সোয়া ৮টার দিকে অ্যাম্বুলেন্স যোগে বৃষ্টির মরদেহ নিজ এলাকা বনগ্রাম পশ্চিম পাড়ায় এসে পৌঁছায়। এ সময় বৃষ্টির বাড়ি ও আশপাশ এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন মা বিউটি বেগম, সাবরুল আলম সবুজ ওরফে সবুজ শেখ, দুই বোন বর্ষা ও ঝর্ণাসহ আত্মীয়-স্বজন এলাকাবাসী।
এদিকে বৃষ্টি খাতুনের মরদেহ নিজ বাড়িতে পৌঁছানোর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং প্রশাসনের কর্মকর্তারা সতর্ক অবস্থানে। উপস্থিত ছিলেন খোকসা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বাবুল আক্তার, খোকসা থানার অফিসার ইনচার্জ আননুন জায়েদসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। সোমবার রাত সাড়ে নয়টার মধ্যে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে বৃষ্টির দাফন করার কথা রয়েছে।
এর আগে সোমবার (১১ মার্চ) বিকেলে বৃষ্টির বাবা সবুজ শেখ মেয়ের মরদেহ বুঝে নেন। ডিএনএ প্রোফাইলিংয়ের মাধ্যমে হিন্দু-মুসলিম পরিচয়ের বিতর্ক নিরসনের পর অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বৃষ্টির মরদেহ হস্তান্তর করে।
বহু জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে নিহত বৃষ্টি খাতুন ওরফে অভিশ্রুতি শাস্ত্রীর পরিচয় শনাক্ত হয়। বাবার নাম সবুজ শেখ ওরফে শাবলুল আলম এবং মা বিউটি খাতুনের দেয়া ডিএনএ নমুনার সঙ্গে মিলে তার ডিএনএ। রোববার (১০ মার্চ) রাতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডির) ফরেনসিক বিভাগের ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম।
গত ২৯ ফেব্রুয়ারি গ্রিন কোজি কটেজ ভবনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় নিহত হন বৃষ্টি। বৃষ্টি তার বন্ধু ও সহকর্মীদের কাছে অভিশ্রুতি নামেই পরিচিত ছিলেন। বৃষ্টি ছিল মূলত মুসলিম পরিবারের সন্তান। কিন্তু অভিশ্রুতি নামে নিজেকে পরিচয় দেয়ার কারণে তার লাশ হস্তান্তর নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। মৃত্যুর পর মন্দিরের পুরোহিত সনাতন ধর্মাবলম্বী ও বাবা-মা বৃষ্টিকে নিজের সন্তান হিসেবে দাবি করে। এরপর নেয়া হয় ডিএনএ নমুনা। নমুনা পরীক্ষায় বৃষ্টির ডিএনএ সঙ্গে তার বাবা-মায়ের ডিএনএ মিলেছে