ভৈরব সংবাদ দাতা: গতকাল সোমবার ভোরে শহরস্থ কমলপুর গ্রামের ইউনাইটেড হাসপাতাল থেকে রিমা প্রমাণিক (১৯) এর লাশ উদ্ধার করে ভৈরব থানা পুলিশ। এই সময় হাসপতালের ২য় তালায় ২০৩নং রুমে বেড থেকে রিমার লাশ এবং তাহার হাতের লেখা পত্র উদ্ধার করা হয়। পত্রের আরাম্ভে আমার আত্মহত্যার জন্য কেউ দায়ী নয় ” ও শেষের দিকে R+S এবং স্যার আপনি আমি সত্যি ছিলাম ওপারে অপেক্ষা করব।আমার পুলিশ হওয়ার স্বপ্ন ছিল ” ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ গোলাম মস্তফা পিপিএম বলেন, পত্রটি রিমার হাতের লেখা কিনা যাচাই করা হবে।এ ব্যাপারে, নিহতের পিতা সেন্টু চন্দ্র প্রমানিক বাদী হয়ে হাসপাতালের এম.ডি হানিফুর রহমান সুমন এবং হাসপাতালের নার্স লিজা-কে আসামী করে ভৈরব থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে মামলা নং -১৫, তাং ১২/০৭/২০২২ইং মঙ্গলবার ভোরে ভৈরব থানা পুলিশ এম.ডি হানিফুর রহমান সুমন-কে ভোরে নিজ বাসা থেকে আটক করেছিল। রিমা ২বছর ধরে ওই হাসপাতালে নার্স হিসাবে কর্মরত ছিল বলে তাহার পরিবারের লোকজন জানায়।নিহতের পরিবার এবং রিমার মৃত্যুর পূর্বে লেখা পত্র থেকে জানা যায়, সে পুলিশ হবার ইচ্ছা ছিলো। নিহতের মা জানায় ঈদের আগের দিন ইউনাইটেড হাসপাতালে নার্স লিজা কাজের কথা বলে বার বার ফোন করে রিমাকে হাসপাতালে নিয়ে আসে।সে ভৈরবের পার্শ্ববতী রায়পুরা থানার পিরিছকান্দি গ্রামে রিমার বাড়ি।তার পিতা মিষ্টির কারিগর, মামলার বাদী নিহতের পিতা বলেন, আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রিমা পুলিশের চাকরী করবে বলে হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দিয়ে বাড়িতে চলে এসেছিল, চাকরী কালীন রিমা হাসপাতালের ৫ম তলায় বাসা ছিল।