সাভারের আশুলিয়ায় এক কিশোরীকে রুমে আটকিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় কিশোরীর সঙ্গে থাকা আরেক শিশুকেও আটকে নির্যাতন ও ধর্ষণের চেষ্টা করে তারা। রবিবার দুুপুরে আসামিদেরকে আদালতে প্রেরণ করা হয়। এরআগে ভোর রাতে আশুলিয়ার পূর্ব ডেন্ডাবর এলাকা থেকে পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আটকরা হলো- শেরপুর জেলার সদর উপজেলার বাকের কান্দা গ্রামের ইদ্রিস আলী ছেলে নাইম (১৮) ও একই গ্রামের একাব্বর আলীর ছেলে আবু বক্কর সিদ্দিক (১৯), মাদারীপুর জেলার কালকিনি থানার আলিপুর গ্রামের এনামুল হক ছেলে রেজাউল করিম ওরফে ইমন (১৯), ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর থানার আকানগর গ্রামের আজমল খান ছেলে আশরাফুল (১৮) ও একই গ্রামের হেলাল মিয়া ছেলে নূর হোসেন (১৮)। তারা সবাই আশুলিয়ার ডেন্ডাবর এলাকায় বসবাস করতেন।
ভুক্তভোগী কিশোরী বলেন, আমার বোন এই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থেকে গার্মেন্টেসে চাকরি করে। গত বৃহস্পতিবার আমি বোনের বাসায় বেড়াতে আসি। ওই দিন রাতে বাসার পাশে একটি দোকানে মোবাইলে টাকা তুলতে গেলে ইমন নামের এক ছেলে আমার নম্বর জেনে নেয়। পরে শনিবার রাতে সে আমাকে ফোন করে ফুসলিয়ে বাসার সামনে ডেকে নেয়। এর আগেও বোনের বাসায় এসে তার সঙ্গে আমার পরিচয় হয়েছিল। পরে ইমন পাশেই তার বন্ধু আশরাফুলের বাড়িতে আমাকে কৌশলে নিয়ে যায়। এ সময় আমার সাথে পাশের বাসার একটা শিশু মেয়েও সঙ্গে ছিল।
কিশোরী আরও বলেন, বাড়িতে যাবার পর ইমনসহ তিনজন ভেতর থেকে দরজা আটকে দেয়। এ সময় তারা আমাকে ধর্ষণ করে। পরে আমাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কক্ষের দরজা বাইরে থেকে তালা দিয়ে চলে যায় তারা। আমার চিৎকারে বাসার এক ভাড়াটিয়া তালা ভেঙে আমাদের উদ্ধার করে।
ভুক্তভোগী শিশুর (১২) বাবা বলেন, আজ সকালে এলাকার লোকজন আমাকে ঘটনার কথা জানায়। পরে আমি মেয়েকে জিজ্ঞাসা করলে সে জানায় তাকে ঘরে আটকিয়ে মারধর করছে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রাজু মন্ডল বলেন , কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। সেই সাথে ভুক্তভোগী কিশোরী ও শিশুকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে