সুনামগঞ্জ সংবাদ দাতাঃ-সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সুরমা নদীর পানি বেড়ে বন্যা প্লাবিত হয়ে বাড়িঘর পানির নিচে। তাই বানভাসি মানুষেরা আশ্রয় কেন্দ্রে জায়গা না পেয়ে এখন নৌকার মধ্যে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানেই খাবার সংকটে অনাহারে অর্ধাহারে তাদের কাটছে দিন-রাত।
সকল টিউবওয়েল পানির নিচে থাকায় বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়ে গেছে। পয়নিস্কাশনের ব্যবস্থাও নাই। অপরদিকে যতদিন যাচ্ছে, আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে দেখা দিচ্ছে রোগ বালাই। দুর্যোগে ত্রাণ সহয়তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আর দুর্ভোগ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে।
দুর্গম হাওড় পাড়ে কোথাও এক হাত জায়গা নেই দাঁড়ানোর। বাড়িঘর, হাট-বাজার, পাশের স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসায়ও পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যাওয়া কোনো উপায় না পেয়ে নৌকা, লঞ্চ, বিদ্যালয়ের ছাদে আশ্রয় নিয়েছেন মানুষ ও গরু-ছাগল। মানুষের খাবারের পাশা-পাশি গো-খাদ্যেরও চরম অভাব দেখা দিয়েছে।
এদিকে বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও বাড়ি ফেরার উপায় সহজ হবে না। উঁচু স্থানে পানি কমলেও দুর্গম হাওড় এলাকায় এখনো পানি কমার কোনো চিত্র চোখে পড়ে না। আর হাওড় এলাকায় বন্যা শুরু হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাথা গোজার একমাত্র ঘরগুলো পানির নিচে হাওড়ের ঢেউয়ে তা ভেঙে তছনছ করে দিয়েছে।
নৌকায় আশ্রয় নেওয়া পরিবারের লোকজন জানান, বাড়িঘর বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত কয়েক দিন ধরে আমরা ঘাটে নোঙর করা একটি ব্লাঙ্কহেডে আশ্রয় নিয়েছি। ত্রাণ সহয়তাকারীরা শুধু আশ্রয় কেন্দ্রে যারা, আছে তাদের কাছে ছুটে যায় কিন্তু আমরা নৌকায় আশ্রয় নিয়েছি শিশু, বউ শাশুড়ি ও পরিবারের বৃদ্ধ লোকজন।