বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত আমতলী বাজারে পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক ডাক্তারের নামে প্রচার প্রচারণা ও মাইকিং বিজ্ঞপ্তি চালানো হলেও বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন ডাক্তার দিয়ে রোগী দেখানো হচ্ছে এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে আজ পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখ দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিজয়নগর এর নেতৃত্বে উক্ত স্থানে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়। মোবাইল কোর্ট পরিচালনা কালে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়। অনুসন্ধানে দেখা যায়, জনৈক ডাক্তার সুব্রত সাহার নামে তৈরিকৃত প্যাডে একেকদিন একেক ডাক্তার নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন। ডাক্তার সুব্রত সাহা সর্বশেষ ১৮ আগস্ট ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ তারিখে উক্ত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, ডাক্তার সুব্রত সাহার প্যাড ব্যবহার করে বিগত ২৫ আগস্ট তারিখে এবং আজ পহেলা সেপ্টেম্বর তারিখে ভিন্ন নামের দুজন ডাক্তার রোগী দেখছেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে গত সপ্তাহে অর্থাৎ ২৫ আগস্ট তারিখে জনৈক সুব্রত সাহার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন একজনকে পাওয়া গেলে তিনি জানান আজকে উপস্থিত ডাক্তার গত সপ্তাহে ছিলেন না। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন ইনি ডাক্তার সুব্রত সাহা। ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, বিজয়নগর রোগী সেজে ডঃ সুব্রত সাহাকে ফোন দিলে তিনি জানান তিনি সর্বশেষ ১৮ আগস্ট তারিখের পর আর বিজয়নগর উপজেলায় রোগী দেখেননি। এতে প্রমাণিত হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডঃ সুব্রত সাহা নামে মানুষের নিকট অন্যায়ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং তাদের প্রতারিত করেছেন।
ঘটনার সাথে জড়িত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক জনাব মোঃ খুরশিদ আলম নিজের প্রতিষ্ঠানের এই অপরাধ স্বীকার করেন। এছাড়াও আজকে রোগী দেখতে উপস্থিত ডাক্তার জনাব তপন দেবনাথকে অন্য ডাক্তারের প্যাডে রোগী দেখছেন কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে লিখিতভাবে জানান।
উপস্থিত ডাক্তার তপন দেবনাথ এর কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেয়া হয়েছে এবং ঘটনার সাথে জড়িত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করে তা আদায় করা হয়েছে। অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুম, বিজয়নগর থানার এসআই জিএম কাদের এর নেতৃত্বে পুলিশ বাহিনী ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।