জাহিদ হাসান,সুনামগঞ্জ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে পূর্বশত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকরা এক খামারির ১০০টি হাঁস দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়া খামার ভাঙচুর করে আরও ২৫০টি হাঁস ধরে নিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কালাগাঁও গ্রাম সংলগ্ন কালাগাঁঙ নদীর পাড়ে এমন ঘটেছে। এঘটনায় খামারি মো. আতাবুর রহমান একই ইউনিয়নের মাটিয়ান গ্রামের মৃত রশিদ মিয়ার তিন ছেলে-সহ ৮জনকে অভিযুক্ত করে তাহিরপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আতাবুর রহমান উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের কালাগাঁও গ্রাম সংলগ্ন কালাগাঙ নদীর পাড়ে গত কয়েকমাস ধরে একটি হাঁসের খামার দিয়ে প্রায় ৮৫০টি হাঁস লালন পালন করে আসছেন। তিনি হাঁসগুলোকে দেখাশুনা করার জন্য একজন রাখালও রেখেছেন। প্রতিপক্ষের লোকজন আতাবুরের ক্ষতি সাধন করার জন্য দীর্ঘদিন যাবৎ পায়তারা করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় শত্রুতাবশত বুধবার রাতের অন্ধকারে প্রতিপক্ষের লোকজন হাতে হাতে দা, রামদা, সুলফি, লোহার রড, কাঠের রুইল, বাঁশের লাঠিসোটা নিয়ে হাঁসের খামারে এসে অতর্কিত আক্রমন করে। সেসময় আতাবুরকে খামারে না পেয়ে খামারের রাখালকে মারধর করে এবং খামার ভাঙচুর করে ১০০টি হাঁস দা দিয়ে কুপিয়ে ও লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মেরে ফেলে এবং ২৫০টি হাঁস ধরে নিয়ে যায়। শুধু তাই নয়, প্রতিপক্ষের লোকজন খামারি আতাবুরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যান তখন।
তবে এ বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত তারেক মিয়া, ও জাকির হোসেন জানান, আমাদের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ মিথ্যা।
এবিষয়ে তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন,এর ফোনে ফোন দিলেও উনি ফোন রিসিভ না করায় উনার বক্তব্য জানাযায়নি।