ভাঙ্গা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আলগি ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পাঁচ গ্রাম বাসীর মাঝে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারী পুরুষসহ কমপক্ষে ৪০ জন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত আসাদ মাতুব্বর, হারু শিকদার ও অজ্ঞাত এই তিনজনকে ঢাকায় ও অহিদুল মাতব্বর, ওবায়দুর মোল্লা এই দুইজনকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের ভাঙ্গা হাসপাতাল ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার দিন বিকেলে নাওরা গ্রামের জয়নাল মাতুব্বরের ছেলে সিয়াম ও একই গ্রামের মরিয়মের ছেলে বাবুর সাথে গুলপানদী গ্রামের আসমতের ছেলে ও শান্ত বিশ্বাসের ছেলে বাবু বিশ্বাসের, (দুই গ্রামের মাঝে সেতুর উপর দিয়ে যাতায়াতের সময় পথচারী মেয়েদের ছবি তোলাকে কেন্দ্র করে) কথা কাটাকাটির পর ঠেলা ধাক্কা হয়। সেই জের ধরে রাতেই উভয় গ্রামবাসী সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্র ঢাল, সরকি, টেটা, রামদা ও ইট পাটকেল নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া চালায় দুই পক্ষ। এভাবে প্রায় তিন ঘন্টা পর্যন্ত সংঘর্ষ চলে । তখন নাওরা গ্রামের পক্ষে অবস্থান নেয় অপরপট্টি, সুলনা, চাংড়া ও শুয়াদী গ্রামের লোকজন। এই পাঁচ গ্রামের নেতৃত্ব দেন, মজিবর মেম্বার, মতিন মুন্সী, মিরান মাতুব্বর ও মিরাজ মাতুব্বর। এবং অপরপক্ষ গুনপালদী গ্রামের নেতৃত্ব দেন জামির মোল্লা।
খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ রাতেই ব্যাপক লাঠিচার্জ ও উভয় দলের নয়জনকে আটক করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
এ ঘটনায় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম বলেন, বর্তমান পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে এরা উভয় গ্রুপ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহোদয় ও উপজেলা চেয়ারম্যান মহোদয়, স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে সংঘর্ষ না করতে মুচলেকা দিয়ে মীমাংসার জন্য সময় নিয়েছেন। তবে অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।