মেহেজাবিন রাজ দিনা:- ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরের ইছাপুরা ইউনিয়ন খাদুরাইল গ্রামের মোশারফের উপর হামলার ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ২ জনকে গ্রেফতার করেছেন বিজয়নগর থানা পুলিশ। বর্তমানে এলাকা পুরুষ শূন্য হয়ে পড়েছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
গ্রেফতাররা হলেন- ইছাপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুল ও একই গ্রামের হারিছ মিয়া। গ্রেফতারের পর তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ রাজু আহম্মেদ বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। দুইজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। যেকোন অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য এলাকাজুড়ে পুলিশি নজরদারিতে রাখা হয়েছে এবং বাকী আসামীদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
২৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার বিকাল পৌনে ৫টায় উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান হাজী আক্তার হোসেন ও বর্তমান চেয়ারম্যান জিয়াউল হক বকুলের গোষ্ঠীগত দ্বন্ধের জেরে হাজী আক্তার হোসেনের ছোট ভাই মোঃ মোশাররফ হোসেনকে (৪০) খাদুরাইল মোড়ে একা পেয়ে কুপিয়ে ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করেন প্রতিপক্ষরা। তাকে আহত অবস্থায় জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সে ঢাকায় চিকিৎসাধীন। এ ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনার স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। পুরো এলাকায় পুলিশি তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দুইজনকে আটক করে পুলিশ। আজ বুধবার সকালে এ ঘটনায় আহত মোঃ মোশাররফ হোসেনের ছোট ভাই আজাদ হোসেন বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামী করে বিজয়নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন