নাছিরনগর সংবাদ দাতাঃ- অবশেষে সমাজ পতিদের সহানুভুতির ফলে হতদরিদ্র ১৩ বছর বয়সী কিশোরী তার স্বামী আর নবজাতক পেল তার পিতার ঠিকানা।
ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর উপজেলার বুড়িশ্বর ইউনিয়নের দক্ষিন সিংহগ্রামের ধরহাটিতে। ঘটনার বিবরণে জানা গেছে ওই গ্রামের হতদরিদ্র পিতা নিলেশ মল্লিক কীর্তন দলের বাঁশিবাধক ও মাথা সুজেনা মল্লিক একজন শ্রমিক।তাদের ১৩ বছর বয়সী কিশোরী কন্যা প্রণতি মল্লিক একা থাকে বাড়িতে।কিশোরীর জন্ম নিবন্ধন সনদ পর্যালোচনা করে ২০০৯ সালের ১২ ডিসেম্ভর তার জন্ম হয়েছে বলে জানা গেছে।
ওই কিশোরীর উপর পড়ে পাশের বাড়ির ৫০ উর্ধ হরিদাস মল্লিকের কুনজর।হরিদাস প্রতিদিন প্রণতিদের একটি গাভীর দুধ দোহন করে দিত। সেই সুবাধে তাদের বাড়িতে আসা যাওয়ার এক ফাঁকে একদিন দিনের বেলা কিশোরী খালি ঘরে ঘুমিয়ে পড়লে সেই সুযোগে হরিদাস কিশোরীকে তার ইচ্ছার বিরোদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষন করে।কিশোরী জানায় এই ঘটনা তার মাকে জানিয়ে দিবে বললে, হরিদাস কিশোরীকে গলা চেপে হত্যার হুমকি দেয়।এভাবে আরো কয়েকদিন কিশোরীকে ভযভীতি প্রদর্শন করে তার ইচ্ছার বিরোদ্বে ধর্ষণ করে।
কিশোরীর পিতা নীলেশ মল্লিক জানায়,হরিদাস গ্রামে পূর্বে আরো এরূপ দুটি ঘটনা করেছে।
হরিদাস মল্লিকের ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী অন্তঃ সত্তা হয়ে পড়ে।গত ১০ দিন পূর্বে ওই কিশোরী একটি ফুটফুটে পুত্র সন্তানের জন্ম দেয়।এই নিয়ে এলাকায় জন্মদেয় নানা আলোচনা সমালোচনা।
এ বিষয়ে জানতে গতকাল শুক্রবার দুপুরে সরেজমিন সিংহগ্রাম ঘটনাস্থলে গেলে গ্রামের সমাজপতিরা বিষয়টি রাতের মধ্যে বিষয়টি সমাধান করবে বলে এ প্রতিনিধিকে আশ্বস্ত করে।
ওই বিষয়টি সমাধান করতে গতশুক্রবার রাতে এক শালীসে বসে গ্রামের সমাজপতিরা।সালীশে হরিদাস ঘটনা স্বীকার করায় সালীশকাররা এক সপ্তাহের ভেতর ওই কিশোরীর নামে ৩০ শতাংশ জমি রেজিষ্টি করে দিয়ে ধর্ষক হরিদাসের সাথে বিয়ের সিদ্বান্ত করে।