আঃ হামিদ মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার গোলাবাড়ি ইউনিয়নের শালিখা কুড়িবাড়ী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনার জেরে হতদরিদ্র কৃষকের সবজি বাগানের সবজি তুলে বিক্রি করতে না পারায় প্রায় তিন লক্ষধিক টাকার সবজি বাগান নষ্ট হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জানা যায়, সবজি চাষি মৃত ময়েন উদ্দিনের ছেলে আবু হানিফ ও আবু কাশেম কুড়িবাড়ি গ্রামে এক একর জমি লিজ নিয়ে বেগুন, কড়লা, শশা, ও কাকরল চাষ করে। উক্ত সবজি গুলো যথাসময়ে তুলে বাজারে বিক্রি করতে না পারায় উল্লেখিত পরিমান টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভুক্তভুগী চাষী ও এলাকাবাসী। চাষী আবু হানিফ ও আবু কাশেম জানান, আমরা বিভিন্ন এনজিও থেকে লোন নিয়ে সবজি বাগান করেছি কিন্তু কুড়ি বাড়ি গ্রামের মৃত আমান আলীর ছেলে মনির, শুকুর ফকিরের ছেলে খোকা ও মানু শেখের ছেলে আজগর আলী সবজি বাগানে যেতে বাধা দেওয়ায় তারা সঠিক সময়ে সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করতে পারছেন না বলে জানান। এখন বিভিন্ন এনজিও থেকে কিস্তির টাকার জন্য বাড়িতে এসে চাপ প্রয়োগ করছে। আমরা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছি।
এ ব্যাপারে কুড়িবাড়ি গ্রামের অভিযুক্ত মনির হোসেনের সাথে কথা বললে তিনি জানান, আমরা সবজি বাগানের সবজি তুলতে কাউকে কোন রকম বাঁধা বা নিষেধ করিনি।
উল্লেখ্য, রমজান মাসে সবজি চাষিদের প্রতিবেশী মোঃ নুরুল ইসলাম পার্শবর্তী শ্রীরাম বাড়ি বাজারে কলা কিনতে গেলে কুড়িবাড়ি গ্রামের মানু শেখের ছেলে কলা বিক্রেতা আজগর আলীর সাথে দাম কষাকষি নিয়ে বাকবিতন্ডা ও এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে কুড়ি বাড়ি গ্রামের মাতব্বরগন উক্ত ঘটনার মিমাংসার জন্য কলা ব্যবসায়ী আজগর আলীকে নিয়ে নুরুল ইসলামের বাড়িতে আপোষ মিমাংসার জন্য যান। মনির হোসেন জানান, মীমাংসার এক পর্যায়ে নুরুল ইসলাম ও তার লোকজন আজগর আলীকে মারপিট করে।
এর জের ধরেই এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং সবজির বাগান আজগর আলীর বাড়ির পাশে থাকায় সবজি চাষীগন সবজি তুলতে যেতে সাহস পাচ্ছে না বলে জানান।
এ বিষয়ে গোলাবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা খান বাবলু জানান, আমি এবং সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার আব্দুল গফুর মন্টু সহ দুই পক্ষদ্বয়কে নিয়ে ঘটনা মিমাংসার জন্য চেষ্টা করলে নুরুল ইসলামের পক্ষদ্বয় উপস্থিত না হওয়ায় বিষয়টি এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। তবে বিষয়টি নিরসনের জন্য আমার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।