বিজয়নগর প্রতিনিধি ব্রাহ্মণবাড়িয়া
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার চান্দুরা ইউনিয়নের সাতগাঁও গ্রামের সাবেক যুবলীগের কাউছার মিয়ার চাঁদাবাজি ও অপকর্মের বিরুদ্ধে ২৮শে জুন (শুক্রবার) প্রেসক্লাব বিজয়নগর এর কার্যালয়ে বিকাল ৩ ঘঠিকায় সকল সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে ভুক্তভোগীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আব্দুল্লাহ।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন,
গত ২৬শে জুন ২০২৪ খ্রি. রোজ বুধবার দুপুরে বিজয়নগর আমতলী বাজারে সাবেক যুবলীগ নেতা কাউছার মিয়ার কাছে পাওনা টাকা চাওয়ায় সে ক্ষিপ্ত হয়ে কাউছার বাহিনীর ক্যাডার দিয়ে দিবালোকের সামনে প্রকাশ্যে ফজলুর রহমানের ২ ছেলে খোকন ও সুজনকে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কোপিয়ে আহত করেন। এর বিষয়ে ভুক্তভোগীরা থানায় মামলা দায়ের করেন। এদিকে মামলা দায়ের পর কাউছার সে নিজেকে বাঁচানোর জন্য এবং ঘটনাকে অন্যদিকে প্রভাবিত করার জন্য কাউছার মিয়া নিজের অফিস নিজেই এবং তার লোকজন দিয়ে অফিসের জিনিসপত্র ভাঙচুর সহ অফিসে থাকা প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভেঙে আমাদেরকে মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর অপচেষ্টা ও মিথ্যা সংবাদ পরিবেশনে লিপ্ত রয়েছে। কাউছার ও তার ক্যাডার বাহিনীর অত্যাচার ও নির্যাতনের এবং প্রভাবের বিরুদ্ধে আজকের এই সংবাদ সম্মেলন।
কাউসার যুবলীগের সাবেক উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক তার এই দলীয় পদবীর অপব্যবহার করে এলাকাতে বিভিন্ন সময় ত্রাসের সৃষ্টি করিয়াছেন। তার আতঙ্কে এলাকার মানুষ ভীত। হে মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে সম্পৃক্ত। কাউছার তার কিছু লাঠিয়াল বাহিনী গ্রামের নিরীহ জনসাধারণের উপর নির্যাতন করিয়া আসছিল। সে স্থানীয় আমতলী বাজারে প্রায়ই চাঁদাবাজি করে। তার ভয়ে কেউ মুখ খুলেনা। এদিকে সম্প্রতি সে চান্দুরা- সিঙ্গারবিল সড়ক থেকে সরকারি গাছ জোড় পূর্বক কেটে নিয়েছেন। চান্দুরা ইউনিয়নের কাউছার ও তার ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অতিষ্ঠ সে ফজর আলীর ছেলে সুজন মিয়া গত এক বছর আগে তার কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা কাউসার নিয়েছিল বিজয়নগর থানা থেকে মোটরসাইকেল ওয়ার্কশোনের কিনে দেবে বলে। এক বছর যাবত চেয়ে মোটরসাইকেল ও টাকা কোনটাই ফেরত দিচ্ছে না, গত বুধবার অনুমান ১১ ঘটিকায় মোবাইল ফোনে তাকে টাকা চাইলে, গালমন্দ করে বাজারে এসে তার বড় ভাই খোকন ও সুজনকে তার লাঠিয়াল বাহিনীর সাথে এনে জনসম্মুখে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। বর্তমানে আহত খোকন জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
অপরদিকে নিজ হাতে প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর করে মিথ্যা মামলা দিয়ে ও স্থানীয় যুগান্তর অনলাইন পোর্টালে ভাঙচুরের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে। উক্ত ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করে নিরীহ পরিবারটিকে অযথা হয়রানি করার চেষ্টা করতেছে। যাহা ঘটনার দিন পুলিশ প্রশাসন কাউসারকে তার অফিস থেকে বের করে আনেন।কাউছার বাহিনীর হাত থেকে বাঁচার জন্য এবং মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা মোকদ্দমা থেকে যেন রেহাই পাই এবং কাউছার ও তার ক্যাডার বাহিনীতে আমরা সহ এলাকাবাসী মুক্তি পাই আপনাদের লেখনি মাধ্যমে তার চিত্র প্রকাশ করে জনসম্মুখে প্রচার করার জন্য অনুরোধ করছি।
পরিশেষে আপনাদের সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেষ করছি আমার আজকের সংবাদ সম্মেলনের লিখিত বক্তব্য। ধন্যবাদ সবাইকে।