মেহেজাবিন রাজ দিনাঃ-গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একটি স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলাদেশের সকল আপাময় জনসাধারণকে। কথা দিয়েছিলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এঁর জন্মশতবার্ষিকীতে বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। এই স্বপ্নের বাস্তবায়ন বেশ কষ্টসাধ্য এবং দীর্ঘ ক্লান্ত পথচলা ছিলো এর একমাত্র সাথী। অবশেষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সেই স্বপ্ন বাস্তবে রূপ দেয়া শুরু করেছে। আজ সেই ঐতিহাসিক দিন। বাঙালির অসম্ভব সাধনের মুকুটে আরো একটি পালক যুক্ত হবার দিন। আজ ২১ শে জুলাই ২০২২ স্মৃতির পাতায় লেখা থাকবে সোনালী অক্ষরে। বাংলাদেশের দুইটি জেলা (পঞ্চগড় ও মাগুরা) সহ ৫২ টি উপজেলা আজ ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রম, প্রজ্ঞা, প্রত্যয়ী মনোভাব এবং সকল জনপ্রতিনিধিদের অক্লান্ত পরিশ্রম, ত্যাগ ও সহযোগিতায় এই স্বপ্ন আজ আলোর মুখ দেখেছে। স্থায়ী ঠিকানা পেয়েছে লাখ লাখ মানুষ। আনন্দের বন্যা বইছে তাদের পরিবারে। কতটা আনন্দদায়ক এই পথ পরিক্রমা তা বুঝতে হলে গণভবন থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আজকের অনুষ্ঠান চলাকালীন অভিব্যক্তি দেখতে হবে আপনাকে। উপলব্ধি করতে হবে হৃদয় দিয়ে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর চোখের চিকচিক আনন্দাশ্রু আপনাকে বুঝিয়ে দিবে এই স্বপ্নের বাস্তবিক প্রতিফলনে তিনি কতোটা উচ্ছ্বসিত।
সারাদেশে ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরই অংশ হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় ভূমি ও গৃহহীন ১৫৮ টি পরিবারের নতুন ঠিকানা হিসেবে দুই শতাংশ জমি ও জমির উপর নির্মিত রঙ্গিন টিনের পাকা ঘরের দলিল পেয়েছে। এতে করে তাদের স্থায়ী বসবাসের নির্ভরযোগ্য স্থান লাভ করেছে।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) সকালে সারাদেশে ভিডিও কনফারেন্সে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৬ হাজার ২২৯ ঘরের শুভ উদ্বোধন করেন।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর বিজয়নগরে ১৫৮ ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ৷
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রকৌশলী আনিসুর রহমান ভূঞা, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শাহানূর জাহান,প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মৃনাল চৌধরী লিটন, সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আল মামুনসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যানগণ, বীরমুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, গণমাধ্যমকর্মী এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।
প্রতিটি ঘর বাবদ খরচ হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫শ টাকা। এই পযর্ন্ত বিজয়নগরে ৩৬০টি ঘর ভূমি ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। এসব ঘরে বিদ্যুৎ, রাস্তা, স্যানেটারি, পানিসহ সকল সুবিধার ব্যবস্থা রয়েছে